ডেস্ক নিউজ:

মিথ্যা তথ্য দিয়ে এমপি সাইমুম সরওয়ার কমলের বিরুদ্ধে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ করায় রামুর স্কুল শিক্ষক সুনিল কুমার শর্মা ও পুত্র সুজন কুমার শর্মার বিরুদ্ধে মানহানি মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার কক্সবাজার সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট একরামুল হুদা বাদী হয়ে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ১-এ মামলাটি দায়ের করেন। বিজ্ঞ আদালত মামলাটি গ্রহণ করে জুডিশিয়াল তদন্তের নির্দেশ দেন। জানা যায়, গত ১৪ জানুয়ারি দুপুরে কক্সবাজার সদর-রামু আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল রামু উপজেলার জোয়ারিয়ানালাস্থ বিকেএসপি মাঠ ভরাট কাজের উদ্বোধন শেষে পরিদর্শন করছিলেন। এ সময় তার সঙ্গে দেখা হয় রামুর ফতেখাঁরকুল পূর্ব মেরংলোয়ারের স্কুল শিক্ষক সুনিল কুমার শর্মার। সেখানে সুনিল কুমার শর্মা ও তার পুত্র সুজন কুমার শর্মার কৃতকর্মের বিষয়কে কেন্দ্র করে এমপি কমলকে কটূক্তি করলে উভয়পক্ষের মধ্যে সামান্য কথাকাটাকাটি হয়। পরে সুনিল কুমার শর্মা সেখান থেকে চলে যায়। পরবর্তীতে সুনিল কুমার শর্মা ও তার পুত্র সুজন কুমার শর্মা উভয়ই যোগসাজশে এমপি কমলের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের সঙ্গে হাত মিলিয়ে সাংবাদিকদের মিথ্যা ও ভুল তথ্য দিয়ে বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় ‘সাংসদ নিজের শিক্ষককে গলাধাক্কা দিলেন’সহ বিভিন্ন শিরোনামে মিথ্যা ও মানহানিকর সংবাদ পরিবেশন করায় শিক্ষক সুনিল শর্মা। ফৌজদারি দরখাস্তে আরও উল্লেখ করা হয়েছে সুনিল কুমার শর্মা কোনোকালেই এমপি কমলের শিক্ষক ছিলেন না। পত্রিকায় গৃহশিক্ষকের যে কথা উল্লেখ করা হয়েছে তাও মিথ্যা ও বানোয়াট বলে উল্লেখ করা হয়।

মামলার বাদী অ্যাডভোকেট একরামুল হুদা জানান, সুনিল কুমার শর্মা ও তার পুত্র সুজন কুমার শর্মা পূর্বপরিকল্পিতভাবে এমপি কমলের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের সঙ্গে হাত মিলিয়ে আগামী জাতীয় নির্বাচনের পূর্বেই এমপির সুনাম ও মানহানি করার লক্ষ্যে এই সংবাদ প্রকাশ করিয়েছেন। এতে করে এমপি সাইমুম সরওয়ার কমল এবং দলীয় সংগঠনের ১০০ কোটি টাকার মানহানি হয়েছে। এ ব্যাপারে সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল জানান, দীর্ঘ ৪ বছর সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় কাউকে অসম্মান করার কোনো নজির নেই। মূলত সুনিল শর্মা ও তার পুত্র সুজন শর্মা বিএনপি ও জামায়াতের দালাল।

যখন যে দল ক্ষমতায় আসে, তখন সেই দলের সঙ্গে আঁতাত করে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করে থাকে। তাছাড়া সে একজন হিন্দু রাজাকার ও দুটি ধর্ষণ মামলার আসামি।